ইসলামিক বিষয়ের এক বিশাল সমাহার

কিতাবসমূহ

Friday, September 27, 2019

মাদরাসা বন্ধ হবে না হয়তো নিজের রিজিক বন্ধ হয়ে যাবে


দারুল উলূম দেওবন্দ মাদরাসায় একজন উস্তাদ দরস দিচ্ছেন,
হঠাৎ কী মনে করে নীরব হয়ে গেলেন,
ছাত্ররা লক্ষ করল উস্তাদের চোখ দিয়ে টপ টপ
করে মুক্তোর মতো পানি পড়ছে, অবাক
বিস্ময়ে ছাত্ররা জিজ্ঞেস করলো, হুজুর!
আপনি কাঁদছেন কেনো?
জবাবে উস্তাদ বললেন!
এই এলাকার জমিদার
বৃটিশের মনসন্তুষ্টির জন্য তার অধীনস্থ কৃষকদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে!
যদি কোনো কৃষক দেওবন্দ মাদরাসায় চাঁদা দেয়, তবে তাকে তার জমি চাষ করতে দিবে না। কৃষকরা জমি হাতছাড়া হয়ে যাবার
ভয়ে মাদরাসায় চাঁদা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে!
প্রত্যুত্তরে ছাত্ররা বলে, হুজুর! এ জন্য
আপনি কাঁদছেন কেনো?
বৃটিশের গোলাম ওই জমিদারের অধীনস্থ কৃষকরা যদি আমাদের মাদরাসায়
চাঁদা না দেয়, তবে কি মাদরাসা বন্ধ হয়ে যাবে?
আমরা হজরত বেলাল (রাঃ)র রুহানি আওলাদ, প্রয়োজনে না-খেয়ে থাকব, অনশনে মরব, তবুও নবীজির লাঠির দাগে -দাগে যেই
মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা থেকে অধ্যয়ন বন্ধ
করবনা !উস্তাদ বললেন, মাদরাসা বন্ধ হয়ে যাবে, এই দুঃখে আমি কাঁদছি না।
বরং যে জমিদার বৃটিশের ধোঁকায় পড়ে মাদরাসায় চাঁদা দেয়া বন্ধ করেছে,
আকাশ থেকে মহান আল্লাহ কি তার রিজেক বন্ধ করে দেন!
আমি সেই দুঃখে কাঁদছি!
এর বেশ কিছু দিন পর দেখা গেলো, একটা ভিক্ষুক প্রতিদিন দেওবন্দ মাদরাসায় এসে ছাত্রদের কাছে খাবার তালাশ করে, ছাত্ররা কিছু
দিলে নিয়ে নেয়, না-দিলে ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির
হয়ে ছাত্রদের অহেতুক গালি গালাজ করে।
ছাত্ররা এর প্রতিবাদ করলে একজন উস্তাদ বলেন, এই ফকিরের পূর্ব পুরুষ জমিদার ছিল, সেই জমিদার যেদিন থেকে হুমকি দিয়ে কৃষকদের চাঁদা দেয়া বন্ধ করে দেয়, সে দিন থেকে আল্লাহ তায়ালা তার রিজিক বন্ধ করে দেন, এই ভিক্ষুক হচ্ছে সেই জমিদার বংশের বেঁচে থাকা শেষ সন্তান, যে আজ ভিক্ষার থলি নিয়ে দুয়ারে -দুয়ারে ঘুরছে।
অতএব, আজো যারা ভাবছেন, মাদরাসায় চাঁদা না-
দিয়ে মাদরাসা বন্ধ করে দিবেন,
তারা জেনে রাখুন!
মাদরাসা বন্ধ হবে না,
আপনি নিজেই বন্ধ হয়ে যাবেন, কেননা এ-
মাদরাসাগুলো কিয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

No comments:

Post a Comment